বিএনপির সংস্কার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে—এমন প্রচারণাকে অন্যায় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত ‘জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ সাংবাদিক পরিবারের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। বাকশালের সময় মাত্র ৪টি পত্রিকা প্রকাশিত হতো, তিনি এসে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার করেছেন। ”
বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নয় বছর দীর্ঘ সংগ্রামের পর তার সরকারের আমলে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন এবং তত্ত্বাবধায় সরকারের বিধানকে সংবিধানে যুক্ত করে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল, “এসব মৌলিক সংস্কার বিএনপিই প্রথম করেছিল। সংস্কার আমাদের মজ্জায়-রক্তে। আমাদের জন্মই সংস্কারের মধ্যে দিয়ে। ফলে যারা বলেন বিএনপি সংস্কার আটকে দিচ্ছে, তারা অন্যায় কথা বলেন। ”
ঐকমত্য কমিশনের প্রতিটি মিটিংয়ে বিএনপির প্রতিনিধি টিম উপস্থিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে আমাদের মতামত সংস্কার কমিটিগুলো সামনে তুলে ধরেছি। ”
সাংবাদিকদের ওপর নানা অন্যায়-অবিচারের কথা উল্লেখ করে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
এছাড়া, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনা দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গতকাল তার এই নির্দেশনা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা চাই, আগামীর নির্বাচন যেন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সর্বজনগ্রাহ্য হয়। ”