নারী ফুটবলের কিংবদন্তি সাবিনা খাতুন নেই জাতীয় দলে, নেই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডেও। তবু বাফুফের (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) ওয়েবসাইট বলছে ভিন্ন কথা—সেখানে এখনও অধিনায়ক হিসেবেই দেখানো হচ্ছে সাবিনাকে। অথচ মিয়ানমারে চলমান নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার।
বিশ্বের সব ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইট তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস হলেও, বাফুফের নারী দলের ক্ষেত্রে সে মান রক্ষা হয়নি। ওয়েবসাইটে এখনো সাবিনা ছাড়াও মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তারের নাম জাতীয় দলে রাখা হয়েছে—যদিও তারা কেউই সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর (মার্চ), জর্ডান সফর (মে) কিংবা চলমান বাছাইপর্বের স্কোয়াডে নেই।
পুরুষ জাতীয় দলের তুলনায় নারীদের প্রোফাইল ব্যবস্থাপনাও উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে। সিঙ্গাপুর ও ভুটানের বিপক্ষে ক্যাম্পে থাকা পুরুষ দলের ২৬ ফুটবলারের হেডশটসহ প্রোফাইল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। কিট পার্টনার ‘দৌড়’ হোম ম্যাচের আগে ফটোশুট করেছে। অথচ টানা দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলের এখনো এমন কোনও ফটোশুট হয়নি।
নারী দল সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের উচ্চ র্যাঙ্কিংধারী দলের বিরুদ্ধেও পয়েন্ট আদায় করছে। তবু তাদের ব্র্যান্ডিংয়ে বাফুফের মনোযোগ চোখে পড়ে না। তথ্য হালনাগাদ না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেডারেশন।
তবে কিছুটা আশার কথা হলো, নতুন কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাফুফের ফেসবুক পেজ বেশ সক্রিয় হয়েছে। ওয়েবসাইটে নিয়মিত কিছু আপডেটও যাচ্ছে। জুনের মাঝামাঝি এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কেটিং ও ডিজিটাল মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ওয়েবসাইট পুরোপুরি হালনাগাদ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়—দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলের প্রতি বাফুফের এমন মন্থরতা কবে ঘুচবে? এবং সাবিনাদের প্রকৃত সম্মান ও তথ্য-প্রযুক্তির সঠিক প্রতিফলন কবে হবে ফেডারেশনের ‘দর্পণে’?
পলিটিক্স/মি