বন্দুকধারীর গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) নিউইয়র্কে নিহত হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। তার সঙ্গে একই হামলায় প্রাণ হারান আরও তিনজন। এছাড়া বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করেন।
বাংলাদেশি এ পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে কথা বলেছেন নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি জানিয়েছেন, দিদারুল নিউইয়র্ককে ভালোবাসতেন এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন এবং ধার্মিক ছিলেন। তিনি বলেন, “তিনি এ শহরকে ভালোবাসতেন। আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন তিনি সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতেন এবং ধর্মীয় জীবনযাপনে বিশ্বাসী ছিলেন।”
মেয়র এরিক অ্যাডামস আরও বলেছেন, “নিউইয়র্ক যেমন সেটির প্রতিনিধি হলেন দিদারুল। তিনি শুধুমাত্র নীল পোশাক নয়, এই শহরকে ভালোবাসার চেতনা ও শক্তিতেও তিনি সত্যিকারের নিউইয়র্কার ছিলেন। আমি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, তাদের বলেছি দিদারুল ছিলেন একজন নায়ক। তিনি জীবনের যে ঝুঁকি নিয়েছেন তার জন্য আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাই।”
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মিডটাউনে স্থানীয় সময় সোমবার একটি অফিস ভবনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামসহ চারজন নিহত হন। চারজনের মধ্যে শুধু দিদারুলের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।
বন্দুকধারী ব্যক্তি চারজনকে হত্যার পর নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস. টিশ।
ওই বন্দুকধারীর পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তার নাম শেন তামুরা। ২৭ বছর বয়সী এই হত্যাকারী লাস ভেগাসের বাসিন্দা। নেভাডা রাজ্যে তার অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। এছাড়া তার মানসিক সমস্যার রেকর্ডও রয়েছে। তবে মানসিক সমস্যার কারণে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না সেটি নিশ্চিত নয়।