রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচজন শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার (২৮ জুলাই) শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত যুবদলের কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “যখন পত্রিকা খুললাম, বেদনায় একেবারে নীল হয়ে গেছি।”
অনুষ্ঠানে তিনি জানান, “দেখলাম পাঁচজন সমন্বয়কারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জোর করে একটি বাড়ি থেকে সাবেক সংসদ সদস্যের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা আদায় করেছে। এটাই কি আমরা চেয়েছিলাম? এত দ্রুত এমন ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে?”
গুলশান থানার তথ্য অনুযায়ী, ১৭ জুলাই আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাক (রিয়াদ) ও কাজী গৌরব অপু সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদার জন্য চাপ দেন। তখন সাবেক এমপির স্বামী বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দেন। শনিবার ফের চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে গেলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শাখার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করছে। অথচ আমরা তাদের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতা করছি। আমরা ঐক্য চাই, অংশীদারিত্ব চাই, দায় নয়।”