বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা সাদিক কায়েম। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাদিক কায়েম বলেন, “দেশ আজ গভীর সংকটে। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো ইসলামপন্থিদের ঐক্য ও সংগ্রাম। আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামী আদর্শভিত্তিক। এ দেশের জনগণ অতীতেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, এবারও দাঁড়াবে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শাপলা চত্বর, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের বিনিময়েই দেশের ইতিহাস রচিত হয়েছে।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের গণহত্যা, দমননীতি ও দুঃশাসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সাঈদীর রায়ের পর যে বর্বর দমন অভিযান চালানো হয়, ২০১৩ সালের শাপলা অভিযানের হত্যাকাণ্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস এবং আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড—এসবই রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ভয়ংকর চিত্র।”
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “ওই বিপ্লব নিছক আবেগ নয়, বরং তা ছিল ঐতিহাসিক চেতনার জাগরণ। সেই চেতনা ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় আমাদের একত্রিত হতে হবে। জামায়াত যে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে, তা কোনো একক দলের নয়—এটি সমগ্র জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবি।”
শেষে রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে তিনি স্পষ্ট করেন, “ইসলামী বিপ্লব মানে জ্বালাও-পোড়াও নয়, এটি হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই লড়াই হবে ঐক্যবদ্ধভাবে, বিভাজন নয়।”