সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
এরদোয়ান দাবি করেছেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য হুমকি’। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রয়টার্সের বরাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি জানায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং সিরিয়ার নেতা আহমেদ আল-শারা আজ ফোনে দামেস্কে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। তেলআবিব বলেছে, সিরিয়ার দ্রুজ সংখ্যালঘুদের সরকারি বাহিনীর গণহত্যা থেকে রক্ষা করার জন্য এ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু এরদোয়ান দাবিটি অগ্রাহ্য করে দামেস্কের প্রতি সমর্থন জানান।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, এরদোয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। ইসরায়েলের হামলা “অগ্রহণযোগ্য এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য হুমকি” এবং আঙ্কারা সিরিয়ার দ্রুজদের সাথে যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিকে স্বাগত জানায় বলে এরদোয়ান মন্তব্য করেন।
ফোনের অপর প্রান্তে শারা এরদোয়ানের মন্তব্যে সাহস ফিরে পান। সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তুরস্কের সমর্থনের জন্য শারা এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে সম্প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে। সেখানে দ্রুজ সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বেদুইন গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিরিয়ান সেনাবাহিনী ট্যাংক মোতায়েন করে। এর পরপরই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ওই ট্যাংক ইউনিটগুলোতে হামলা চালায়। সিরিয়ার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ট্যাংক মোতায়েন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্যাংকগুলো অস্ত্রশস্ত্রমুক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করেছে, যেখানে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে।