বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ বুধবার এক ফেসবুক বার্তায় তিনি তাদের সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তারেক রহমান জানান, শুভ বড়দিনের আনন্দময় সময় সমাগত।
বড়দিন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ক্ষমা, করুণা, মানবপ্রেমের দিশারি মহান যিশুখ্রিস্ট এদিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। তাই খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন মানুষে মানুষে সম্প্রীতির মহাবার্তা নিয়ে।
তিনি আরো জানান, সব ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের সেবা ও কল্যাণ। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও দশের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে হবে। বিশ্বের একটি বড় জনগোষ্ঠীর মানুষ যিশুখ্রিস্টের ধর্ম ও দর্শনের অনুসারী। যুগে যুগে মহামানবগণ নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনের মাধ্যমে মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার পথপ্রদর্শক হয়েছিলেন।
তাঁরা মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন অসত্যের বিনাশ সাধন করে উন্নত নৈতিক উৎকর্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে সমষ্টিগত সুখময় জীবন গড়ে তুলতে। মহান যিশুখ্রিস্টও একইভাবে তাঁর অনুসারীদের নিরলস একনিষ্ঠভাবে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
তারেক রহমান জানান, শুভ বড়দিন একটি সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের সব ধর্মের মানুষ আবহমানকাল থেকে স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।
যিশুখ্রিস্ট মানুষকে ভালবাসতে এবং সেবা, ক্ষমা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ, আক্রোশ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার-নির্মমতা প্রতিরোধ করতে আমাদের সবাইকে শপথ নিতে হবে। বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরো মজবুত করতে হবে।
পৃথিবীর মানুষ বিভিন্নভাবে সমস্যাগ্রস্ত, যেটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক থেকে শুরু করে সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগতও হতে পারে। মহামানবদের জীবন দর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবজীবনে ন্যায়নীতি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। আর তাহলেই স্রষ্টার সন্তষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো। আমি বড়দিনের সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
