বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা খুব সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য জানান তিনি।
আজম খান বলেন, বেগম জিয়ার অবস্থা আবারও ক্রিটিক্যাল, গতকাল রাত থেকে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন অত্যন্ত অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন তিনি। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানাবেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন, দ্রুত যেন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেদিন তার অনেক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। যদিও চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি।
৮ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর গত ৮ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি। চার মাস পর ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া।
