চিত্রনায়িকা পপি সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে আলোচনায় রয়েছেন। বিয়ে, সন্তান, সংসার; কিছু সময়ের জন্য মিডিয়া থেকে অন্তর্ধান; জমি সংক্রান্ত পরিবারের বিরোধ; এবং ফের পুনরায় সক্রিয় হওয়া—এই সব বিষয় মিলিয়ে শেষ কয়েক বছরে পপির নাম ঘুরপাক খেয়েছে।
তবে বিয়ে করেও তিনি শান্তিপূর্ণ সংসার করতে পারছেন না—এর কারণও প্রকাশ করেছেন এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা।
চাচাতো বোনের জামাই তারেক আমাদের বাড়িতে লজিং থাকত। এরপর সে আমার চাচাতো বোনকে ভাগিয়ে নিয়ে গেল। বিয়ে করল।
বিয়ে করে সংসার শুরু করল। এরপর আমার সম্পত্তি দখলে নিল। আমি আমার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে সে আমাকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয় না। শুধু আমার নয়, সে একজন দুর্নীতিবাজ।
একটা ব্যাংকে চাকরি করে তার হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছে। এসব পেল কোথায়? কারণ সে পুলিশের বেনজীর, তারেক সিদ্দিকীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে চলত। সে আগে ছাত্রলীগ করত সেই ক্ষমতা দেখাত। এখন সে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চলছে।
প্রতারণার শুরু করেছেন মা-বাবা
আমার লাইফে সিনেমা করে যত টাকা আয় করেছি। সব টাকা আমি বিনিয়োগ করেছি খুলনায়। আমার মা-বাবা সব সময় ইনফ্লুয়েন্স করতেন জমি কিনতে। অনেক আত্মীয়-স্বজন জমি বিক্রি করার জন্য আগ্রহ দেখান। আমি কিনি। কিন্তু সেই জমি এখন আমি বুঝে পাচ্ছি না। প্রতারণার শুরুটা করেছিলেন আমার মা-বাবা। তারা আমার সব উপার্জন বিনিয়োগ করিয়েছেন খুলনায়।
স্বজনরাও করেছে প্রতারণা
আমরা খবরে নানা সময়েই শুনতে পাই পরিবারে যদি একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি থাকে, ধরেন সেই মানুষটি গ্রামের বাইরে অন্য শহরে বা দেশে থাকে। তাহলে সেই ব্যক্তির টাকা নিয়ে সংসারের সব খরচ চলে। বাড়িঘর ঠিক করে, একতলা-দোতলা বানায়, পরিবারের সদস্যদের বিয়ে দেয়। আনন্দ-বিনোদনের জন্য যা প্রয়োজন তা কেনে। সুখে-শান্তিতে বসবাস করে। আর যার আয়ে এত কিছু চলছে সে যখন বাড়িতে আসে, তখন সে দেখতে পায় সবার থাকার জায়গা আছে, শুধু তারটা নেই। আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে সেটা। আমার সব আত্মীয়র দেখাশোনা করেছি আমি, নানা সময়ে উপকার করেছি, আজ তারা আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে।
ঢাকায় কোনো জমি-ফ্ল্যাট নেই
দেখেন, আমার নিজের কোনো সম্পদ নেই। আমি যদি চলচ্চিত্রে ফিরি, আবার কাজ শুরু করি। তাহলেও আগামী ১০ বছরে আমি সামান্য জমি কিনতে পারব না। আপনারা জানেন চলচ্চিত্রের কী অবস্থা এখন। এখন আমার সম্বল বলতে ওই খুলনায়। ঢাকায় আমার একটা ফ্ল্যাট পর্যন্ত নিজের নেই, ঢাকায় আমি কিছু করতে পারিনি। যা করেছি খুলনায়, এখন সেসব তারা লুটেপুটে খাচ্ছে। আমাকে দেবে না।
আমি আসলে কোথায় গেলে আমার জমি ফেরত পাব। এই আমার দুধের বাচ্চাটাকে নিয়ে আদালতে যাচ্ছি, থানা পুলিশ করছি, সে এই বয়সেই সব দেখছে। আমি জানি তার ওপর কী প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমি তো অপরাধবোধে ভুগছি। আমাকে কেউ সহায়তা করছে না।
আমি বিগত আমলে খুলনায় থানায় গিয়ে কোনো সহায়তা পাইনি, এখনো পাচ্ছি না। আমি বিয়ে করেছি, বাচ্চা হয়েছে। শুধু এই এক কারণে আমি শান্তিতে নেই, ঠিকমতো সংসারও করতে পারছি না। আমি প্রতারণার শিকার, কোথায় গেলে সাহায্য পাব?
