রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির একটি ভবন থেকে পড়ে মুসফিকুজ্জামান (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিকস অব ফিজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়তেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভবন থেকে পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছি। তিনি ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করেন। পরে ক্লাস থেকে বের হয়ে ছাদে উঠেন। তিনি ছাদে উঠার ১ ঘণ্টার আগে ও পরে অন্য কাউকে সেই ছাদে উঠতে দেখা যায়নি। আমাদের কাছে সংবাদ পাওয়ার পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এটা আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। কারণ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
ঢাকা মেডিকেলে নিহত মুশফিকুজ্জামানের চাচা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পাচগাঁও গ্রামে। বর্তমানে বাবা বিএম মোখলেসুর রহমান ও মা স্কুল শিক্ষিকা কমলা আক্তারকে নিয়ে খিলগাঁও থানার পাশে থাকতো। এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিকেলে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি যে মুসফিকুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের দশতলা থেকে পড়ে মারা গেছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে মরদেহ দেখি। তার মতে, সে লাফিয়ে আত্মহত্যা করার মতো মানুষ নয়। তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলেছে, নাকি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছে—এটি তদন্ত করে নির্ণয় করতে হবে।
