দীর্ঘ ২২ বছর পর ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ভারতকে ১–০ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশের ফুটবল দল বহুদিনের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক স্মরণীয় জয় তুলে নিল।

গত দুই দশকে ভারতকে হারাতে না পারলেও, আজ শিলংয়ের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ। শেষবার শিলংয়ে মুখোমুখি হওয়া ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র, আর তাই আজকের এই জয় বাংলাদেশের জন্য হয়ে রইল এক ঐতিহাসিক অর্জন।

ম্যাচের ১১ মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন মিডফিল্ডার শেখ মোরছালিন। বাঁ পাশ থেকে রাকিবের বাড়ানো পাসটি ভারতের গোলকিপারের সামনে থেকে টোকা দিয়ে জালে পাঠান মোরছালিন। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তার সপ্তম আন্তর্জাতিক গোল এবং তা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পরবর্তীতে দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে প্রথম গোলটি তুলে নেয়। ভারত ম্যাচে কিছু সুযোগ সৃষ্টি করলেও তাতে কোনো সাফল্য পায়নি।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তারিক কাজী চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তার বদলি হিসেবে মাঠে নেমে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শাকিল আহাদ তপু।

এর কিছু সময় পর গোলকিপার মিতুল মারমার একটি ভুলে গোলের সুযোগ পায় ভারত, তবে বাংলাদেশের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। সেই সময় ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান হামজা চৌধুরী। ভারতীয় খেলোয়াড়ের একটি ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করে বাংলাদেশের রক্ষণ শক্তিশালী রাখেন তিনি।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটে একটি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তপু বর্মণের সঙ্গে ভারতের বিক্রমের ধাক্কায় হাতাহাতি পর্যন্ত পরিস্থিতি পৌঁছায়। পরে রেফারি তপু ও বিক্রমকে হলুদ কার্ড দেখান। এই মুহূর্তটি ছিল ম্যাচের এক তীব্র মুহূর্ত, তবে খেলা চলে যায় আবারও শান্তির দিকে।

প্রথমার্ধের শেষে বাংলাদেশ ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। মোরছালিনের গোলটি এখনো সুরক্ষিত ছিল, এবং ভারত সমতা ফেরানোর জন্য কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে আসেনি। বাংলাদেশের রক্ষণ ছিল দুর্দান্ত, এবং গোলকিপার মিতুল মারমা ও হামজা চৌধুরীর দারুণ প্রচেষ্টায় ভারত একটি গোলও পায়নি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version