ফতুল্লায় পোস্টারিং করে সাবেক এমপি গডফাদারখ্যাত শামীম ওসমানের শিষ্য মনিরুল আলম সেন্টু ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের অলিগলির বাসাবাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টার দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। এ নিয়ে ফতুল্লাবাসীর মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। তারা বলছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে সেন্টু যখন যা ইচ্ছা তা-ই করেছেন। বিষয়টি বিএনপি নেতাকর্মীদের জোরালো প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় নির্বাচনি জনসভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আ.লীগ প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাওয়ায় তৎকালীন থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম সেন্টুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর তিনি উপজেলার দেলপাড়া এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে শামীম ওসমানকে পীর দাবি করে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর ২০১৯ সালে আ.লীগে যোগ দিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। সরকার পরিবর্তনের পর সেন্টুর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে ফতুল্লাসহ বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়। এসব মামলা থাকার পরও রহস্যজনক কারণে পুলিশ প্রকাশ্যে চলাফেরা করা সেন্টুকে গ্রেফতার করছে না। এ নিয়ে জামায়াত-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা যত বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তত বেশি বেপরোয়া চলাফেরা করেন সেন্টু। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সেন্টুর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়ে হত্যাচেষ্টা ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ খুঁজছে। যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হবে।
