ফেসবুকে আগামী ১৩ নভেম্বর লকডাউন সফল করার জন্য ঢাকায় সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানোর অভিযোগে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফারুক হোসেন (৬৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার মসজিদ বাড়ি সড়কের তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আলম।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন আগে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন।
তিনি শহরের হাবেলী গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত মো. জাহিদ হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর ফারুক হোসেন ‘মো. ফারুক হোসেন’ নামে নিজ ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। ওই পোস্টে তিনি নিজেকে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি’ দাবি করে লেখেন, ‘ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত সকল থানা, পৌরসভা, সহযোগী ও ভ্রাতিপ্রতিম সংগঠনসমূহ, আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকা যাওয়ার জন্য সকলে প্রস্তুত থাকুন। ১০-১১-১২ স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যেকের অবস্থান থেকে মিছিল করুন।
বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন, অবৈধ ট্রাইবুনাল মানি না মানবো না, শেখ হাসিনার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে। অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন হোক, পতন হোক।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই পোস্ট দেওয়ার সাতদিনের মাথায় আজ সোমবার তাকে আটক করে জেলা পুলিশ।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ বলেন, মো. ফারুক হোসেন কোতয়ালী থানার দুটি মামলার এজাহারভূক্ত আসামি।
তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে আটক করা হয় ফারুক হোসেনকে।
