ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার সময় তিনি জানিয়েছেন, “ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আমি নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।”
দলের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আগামী এই নির্বাচন সম্ভবত নিজের শেষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ নির্বাচনের বার্তা দেন তিনি। এসময় নিজের জন্য এবং দলের নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া চান মির্জা ফখরুল।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে। আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং সব নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
দলের সব কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য।’
আগামী নির্বাচন তার শেষ নির্বাচন হতে পারে এমন বার্তা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন। যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে। আপনারা সবাই আমার জন্য দোআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীর জন্য দোআ করবেন।
আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব ইনশাআল্লাহ। বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কিছু ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে। অনেকেই তা জানে না। আমি যখন ১৯৮৭-তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল।
ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল। সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। বুঝতে পারছিল কী ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে। আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে। মনে পড়ে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে। যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি।’
এরকম গল্প দলের হাজারো নেতাকর্মীর আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
