বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, ক্ষমতায় থাকা মানে দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। এ ক্ষেত্রে যদি তারা ব্যর্থ হন, তবে ইতিহাস তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে পদ্মা নদী অববাহিকায় পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের দলিলে স্বাক্ষর হওয়ার পরেও কীভাবে তা পরিবর্তন হতে পারে? প্রধান উপদেষ্টা সভাপতি হলেও একবার স্বাক্ষর হয়ে গেলে তা তিনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এক বছর ধরে এত আলোচনা ও সভার পর আনুষ্ঠানিকভাবে জনসম্মুখে স্বাক্ষর করার পর কেন গড়মিল থাকবে? জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে কি আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে? বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কি এসব করা হচ্ছে?”
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুন বলেন, ভারত আমাদের কোনোভাবেই বন্ধু নয়। তারা যদি সত্যি বন্ধু হতো, তাহলে যারা বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে তাদেরকে আশ্রয় দিত না। তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত দিত। জিয়াউর রহমান ছিল বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ, আল্লাহ কর্তৃক নিয়ামত। জিয়াউর রহমান দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। দেশকে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরিয়েছেন, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দলের প্রবর্তন করেছেন। আমরা এখনও নির্বাচনকে ভয় পাই না।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তি যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, এখনও এই শক্তি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য আপোশহীনভাবে লড়াই করবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা জাতীয় ইস্যু পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি নিয়ে নেমেছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে এই দাবি বাস্তবায়ন করব। এই দাবির মধ্য দিয়ে দেশ কৃষি খাতে এগিয়ে যাবে। কারণ পানি ছাড়া কৃষি বাঁচবে না। তাই নদী রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি নেতা হারুন বলেন, গত ৪০ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় যে নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে, তার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা যাবে না। এই ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে বিএনপি সরকার সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখনো শিবগঞ্জের উজানে আরও ১২-১৩ কিলোমিটার বাঁধ দেয়ার কাজ বাকি আছে। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, আগামী বছর থেকেই বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
