বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছে। বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “কেয়ারটেকার সরকারের মতো পরিচালিত না হলে সরকারের প্রতি আস্থার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন দল থেকেও এই বিষয়টি উল্লেখ করা হচ্ছে, যা আগামী দিনে আরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।এ জন্য কেয়ারটেকার সরকারের আদলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করতে হবে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল সেরিনায় কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু এসব কথা বলেন।
এতে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্টের প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মূলত আমরা কিভাবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি, ডেমোক্রেটিক অর্ডারে ফিরে যাওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়াটা, তার ওপর মূলত তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এখানে এই প্রক্রিয়াটা কী হবে এবং এটা কত নিরপেক্ষভাবে আমরা এগিয়ে নিতে যাচ্ছি, এই প্রেক্ষাপটে অনেক আলোচনা হয়েছে। কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে তারা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলের কথা বলা হচ্ছে। এখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কী জন্য হয়েছিল, এটা তো বুঝতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছিল বিশ্বাসে আস্থার সংকট ছিল বলে। আজকে অনেকগুলো দল, শুধু বিএনপি তো না, সরকারের অভ্যন্তরে কিছু কার্যক্রম, কিছু ব্যক্তির ব্যাপারে আস্থা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এটা বিএনপি একা বলেনি। বিভিন্ন দল থেকে বলা হয়েছে। যেখানে আস্থার সংকট হবে, সেখানে নির্বাচন তো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এই কারণে বলা হচ্ছে, কেয়ারটেকার গভমেন্টের আদলে, কেয়ারটেকার গভমেন্টে বলা আছে কিভাবে নির্বাচনটা সম্পন্ন করবে। অর্থাৎ প্রতিদিনের কাজগুলো তারা কিভাবে করবে। এখানে বিশ্বাসযোগ্যতা, স্বচ্ছতার প্রশ্নগুলো উঠে আসছে।’
