রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কি না—এখন তা পুরোপুরি নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে পুতিন সম্মতি দিলেও, এখনো বৈঠকের সময় বা স্থান নির্ধারণ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
হাঙ্গেরির ইউটিউব চ্যানেল আল্ট্রাহাং-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনকে বুদাপেস্টে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পুতিন তা মেনে প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে আমন্ত্রণ স্থগিত করা হয়। সিদ্ধান্তের দায়িত্ব এখন তাদের—যারা প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভদ্র কূটনৈতিক মানুষ। কেউ ডাকলে যাই, না ডাকলে অপেক্ষা করি। ট্রাম্প নিজেই বলেছিলেন, বাতিল নয়—এটি কেবল স্থগিত।”
ল্যাভরভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তার সাম্প্রতিক ফোনালাপে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। “ওই কলটি এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই। আলোচনা ভালো হওয়ায় নতুন কোনো বৈঠকের দরকার মনে করা হয়নি,” বলেন তিনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট—কিয়েভকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে, ন্যাটোয় যোগ দেওয়া যাবে না, পারমাণবিক অস্ত্র রাখা যাবে না এবং রুশভাষীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
ল্যাভরভ ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, “তারা অযথা যুদ্ধবিরতির চাপ দিচ্ছে, যা রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংলাপে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”
ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তার ভাষায়, “এটি এক ভুল পদক্ষেপ, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ধ্বংস করছে।”
