সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি—রিপন মিয়া। পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি, কিন্তু এখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার এক পরিচিত মুখ। নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের এই তরুণ তার সহজ-সরল উপস্থাপনা ও ঘরোয়া ভিডিও দিয়েই রাতারাতি তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন।
২০১৬ সালে ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে যাত্রা শুরু করেন রিপন। তার মুখে শোনা “হাই আই অ্যাম রিপন ভিডিও” এবং “আই লাভ ইউ, এটাই বাস্তব” সংলাপ দুটি নেটিজেনদের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই।
খুব দ্রুতই তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান। বর্তমানে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ, যা অনেক তরুণ কনটেন্ট নির্মাতার জন্য বড় প্রেরণা।
তবে এই জনপ্রিয়তার মাঝেই শুরু হয় বিতর্ক। সম্প্রতি রিপন অভিযোগ করেন, ঢাকায় কয়েকজন টিভি সাংবাদিক তার বাড়িতে গিয়ে ইন্টারভিউ না দিলে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দিয়েছেন।
এরপরই বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রিপন মিয়াকে ঘিরে প্রকাশিত হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই প্রতিবেদনে সামনে আসে আরও অপ্রত্যাশিত অভিযোগ—রিপনের নিজের মায়ের কাছ থেকেই।
মায়ের অভিযোগ, তার ছেলে এখন গরিব বাবা-মায়ের পরিচয় দিতেও লজ্জা পান। তিনি জানান, রিপন নাকি পুরোনো ভাঙা বাড়ি ছেড়ে নতুন পাকা বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন এবং মায়ের ভরণপোষণও দেন না।
এই অভিযোগ প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে রিপন মিয়াকে ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন—“তারকা হলে মানুষ পাল্টে যায়”, আবার কেউ মনে করছেন, “বিষয়টি একতরফা বিচার করা ঠিক নয়।”
