যুদ্ধবিরতির পরে গাজায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকেই হামাস বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে তাদের প্রশাসন ও নিরাপত্তা কাঠামো পুনর্গঠন করছে। গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি দুর্বল হওয়ার সুযোগ নেওয়া কোনও ঘটনা যেন আর ঘটতে না পারে—এই লক্ষ্য বিবৃতিতে বারবার উঠে এসেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক অভিযানে হামাস ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে; তাদের বিরুদ্ধে শাসন কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা এবং বিদেশী শক্তির সহায়তায় কাজ করার অভিযোগ ছিল। রাফাহ অঞ্চলে হামাসবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধে ও অভিযান চলছে—হামাসের দাবি, এসব ব্যক্তি ইসরাইলের স্বার্থে কাজ করে গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছিল।
হামাস সরকারের মিডিয়া অফিস প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ‘আমরা গাজায় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যাতে জনগণ নিরাপদে থাকতে পারে।’ তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে যদি স্বাধীন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে হামাস তাদের অস্ত্র সেই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে তুলে দিতে প্রস্তুত — তবে গাজার শাসন কাঠামোকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের মধ্যেই, কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া।
বিশ্লেষকরারা বলছেন, হামাসের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো গাজায় পুনরায় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং জনমানসে আস্থা ফিরে পাওয়া। যাতে ভবিষ্যতে যে কোনও চুক্তি বা রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় গাজার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রেক্ষাপট নিয়েই বর্তমানে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
