যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আল্টিমেটামের জবাবে পাল্টা কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রোববার এক বিবৃতিতে বেইজিং জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনের বৈধ অধিকার ও জাতীয় স্বার্থে আঘাত হানে, তবে চীন কঠিন পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “চীন কখনো বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না, তবে ভয়ও পায় না। উচ্চমাত্রার শুল্কের হুমকি কোনো সমাধান নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে এগোয়, তবে আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের অধিকার রক্ষা করব।”
সম্প্রতি যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ খনিজের রপ্তানি সীমিত করেছে চীন। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, বেইজিং যদি অবস্থান না বদলায়, তবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে চীনের ওপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। অর্থাৎ বর্তমান শুল্কের হার দ্বিগুণ হবে।
ট্রাম্পের এই হুমকির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চীন জানিয়ে দিলো— কোনো চাপ বা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনা যাবে না।
গত আগস্টেই শুরু হয় নতুন ‘শুল্কযুদ্ধ’। ট্রাম্প প্রশাসন চীনের রপ্তানি শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করে, আর পাল্টা হিসেবে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ থেকে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে। পরে উভয় দেশ ৯০ দিনের জন্য শুল্ক বৃদ্ধি স্থগিত রাখে, যার মেয়াদ শেষ হবে নভেম্বরেই।
যদি ট্রাম্প তার ঘোষণায় অনড় থাকেন, তবে নভেম্বর থেকে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক দাঁড়াবে ভয়াবহ ২৪৫ শতাংশে— যা বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন আগুন জ্বালাতে পারে।
সূত্র: আরটি
