ব্রিটিশ এমপি ও দেশটির ছায়া আইনমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক আবারও বিতর্কে। বার্মিংহামের হ্যান্ডসওর্থের সোহো রোড এলাকাকে তিনি ‘বস্তি’ (slum) বলে অভিহিত করেছেন—যা মূলত ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অভিবাসীদের আবাসস্থল।
সম্প্রতি দ্য টেলিগ্রাফের ডেইলি টি পডকাস্টে জেনরিক বলেন,
“ঠিক এই ধরনের দেশে আমি থাকতে চাই না। মনে হচ্ছিল জায়গাটা একেবারে বস্তির মতো। দেড় ঘণ্টায় আমি কোনো শ্বেতাঙ্গ মুখ দেখিনি।”
এর আগেও চলতি বছরের মার্চে একই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তখন স্থানীয় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ধর্মঘট চলছিল, আর আবর্জনা নিয়ে সংবাদ করতে গিয়ে ওই এলাকাকে বস্তির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।
তাঁর দাবি—এলাকাটির কিছু অংশ অন্যান্য জায়গার তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা, এবং বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগের ভয় পেয়ে এসব বিষয়ে নীরব থাকা উচিত নয়।
তবে জেনরিকের এই বক্তব্যে ব্রিটেনজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সাবেক টোরি নেতা লর্ড মাইকেল হেসেলটাইন বলেন,
“উদ্বাস্তু বা অভিবাসীদের আক্রমণ করে এমন ভাষা কনজারভেটিভদের পথ নয়। এটি সমাজে বিভাজন ও ঘৃণা ছড়ায়।”
বার্মিংহামের বিশপ মাইকেল ভল্যান্ড মন্তব্যটিকে “সম্পূর্ণ ভুল” বলে আখ্যা দেন এবং জেনরিককে পাঠানো চিঠিতে লেখেন,
“আপনার মন্তব্য বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে এবং বিষাক্ত জাতীয়তাবাদকে উসকে দিতে পারে। একজন রাজনীতিবিদের এমন মন্তব্য করা ঠিক নয়।”
যদিও কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা কেমি ব্যাডেনোচ জেনরিকের মন্তব্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, “তিনি যা বলেছেন, তাতে কোনো ভুল নেই।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি লন্ডনে রিফর্ম ইউকে-র মতো অতি-ডানপন্থী দলগুলোর উদ্বাস্তুবিরোধী কর্মসূচির পর কনজারভেটিভ নেতারা জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন।
