জুলাই সনদ ও গণভোট ইস্যুতে রাজনৈতিক নেতাদের আলোচনায় এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি—এ প্রেক্ষাপটে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বুধবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাসভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই হতাশার কথা জানান।
রাশেদ খান বলেন, আপনারা যেমন আজকের আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছেন, ঠিক একইভাবে আমরাও আজকের এই আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছি। এটা তো আসলে জনগণ কোনোভাবেই প্রত্যাশা করে না। আপনারা সেই আবার আট মাস পেছনে ফিরে যাবেন, যেখানে সামনে ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা জাতিকে একটি সেরা নির্বাচন উপহার দেবে। তবে আমাদের দাবির মধ্যে প্রতিদিন মনে হচ্ছে যে, আমরা মতপার্থক্য তৈরি করছি। এ অবস্থায় আরও এক মাসও যদি আলোচনা চলে তবু কোনোভাবে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো না।
রাজনৈতিক দল এব রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা ৯টি রাজনৈতিক দল বসেছিলাম, আলোচনা করেছি। আমরা দেখলাম যে পরবর্তীতে আজকের এই ঐক্যমত কমিশনে তাদের মধ্যে ভিন্নমত। ঐক্যমত কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছিল আপনারা দলগুলো বসেন। আমি আজকে স্পষ্ট করেছি আমরা তো বসেছি। বসার পরে দেখলাম যে আমরা একমতে আসার পরেও এখানে এসে নেতারা এক একজন এক এক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এমন দ্বিচারিতা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ যদি সকালে এক কথা বলেন আর বিকেলে আরেকটা, অথবা আজ এক কথা বলে পরদিন উল্টো কথা বলেন—এটা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছি—রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস থাকত, তাহলে গণভোটের দরকার পড়ত না। কিন্তু সেই আস্থার অভাবই গণভোটকে জরুরি করে তুলেছে।
