গাজায় শান্তি প্রস্তাব গ্রহণে হামাসকে স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে হামাসকে এমন ‘ভয়াবহ পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হতে হবে, যা এর আগে কেউ কখনও দেখেনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ প্ল্যাটফর্মে এক দীর্ঘ পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আমরা যে কোনো মূল্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব। সহিংসতা এবং রক্তপাত বন্ধ হতেই হবে। সকল জিম্মিকে, নিহতদের এখনই মুক্তি দিন! রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি হতেই হবে। প্রতিটি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে! এই শেষ সুযোগের চুক্তি যদি না হয়, তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে যা আগে কেউ দেখেনি। যেভাবেই হোক মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবেই।
হামাস যুদ্ধাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, হামাসের সদস্যরা কোথায় লুকিয়ে আছে তা সকলের জানা আছে এবং তারা সামরিকভাবে ফাঁদে পড়ে রয়েছে। এখন সৈন্যরা শুধু আদেশের অপেক্ষায় আছে।
ট্রাম্প ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ফিলিস্তিনের সকল নিরীহ মানুষ যেন গাজার সম্ভাব্য মৃত্যু এলাকা ছেড়ে নিরাপদ অংশে চলে যায়।
এই চরম হুমকি এবং কঠোর সময়সীমা সত্ত্বেও, হামাস এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড়। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল আল জাজিরা আরবিকে বলেছেন, ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীটি শীঘ্রই মার্কিন প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের অবস্থান ঘোষণা করবে।
নাজ্জাল ট্রাম্পের এই সময়সীমা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, আমরা যুক্তি দিয়ে পরিকল্পনাটি বিবেচনা করছি। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতিনিধি হিসেবে হামাসের অধিকার আছে এমনভাবে তার মতামত প্রকাশ করার, যা ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে।
কাতারের পাশাপাশি অন্যান্য আরব মিত্ররা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য হামাস নেতাদের এই উচ্চ-পর্যায়ের প্রস্তাবটি গ্রহণ করার জন্য চাপ দিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
