দেশের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে প্রবাসীদের শুধুমাত্র দর্শক না থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, “দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার সময় শেষ—এখন আমাদেরই মাঠে নামতে হবে।”
প্রবাসীদের বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করে তিনি জানান, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ও বিনিয়োগ সুবিধা সহজতর করতে ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে, যা তিনি অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন।
প্রবাসীদের তিনি বাংলাদেশের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে দেশ পুনর্গঠনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রবাসীদের বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ২১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার সফরসঙ্গী হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘ওনারা এ সফরে যোগ দিতে সম্মত হওয়ায় আমাদের আস্থা অনেক বেড়ে গেছে।’
এটি বাংলাদেশের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকার একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় বলে তিনি মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা। এই সফরের অষ্টম দিনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই ছিল কোনো অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের সরাসরি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখোমুখি হওয়ার প্রথম সুযোগ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে এনআরবিরা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যারা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সূচিত পরিবর্তনগুলো এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের উপস্থাপনা দিয়ে। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রবাসীদের অবদানে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশেরও বেশি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।