লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক মীর মো. জিয়াউর রহমান সুমনকে রামগতি উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক করা নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ৫ আগস্টের পর রামগতিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মী পলাতক থাকলেও হঠাৎ তাঁতী লীগ নেতা মীর মো. জিয়াউর রহমান এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন।
সুমন বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় সরব থাকা নিয়ে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও সমালোচনা চলছে। এমনকি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সুমন তাঁতী লীগের বড় নেতা ছিলেন। সরকারের পতনের পর হঠাৎ তাকে দেওয়া হয় উপজেলা জিয়া মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক। ইউনিয়ন থেকে এবার সুমন হলেন উপজেলা নেতা। তাই তাকে ঠেকায় কে? এমন ভাব নিয়ে চলেন সুমন।
চলতি বছরের ১৬ জুলাই লক্ষ্মীপুর জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান রুবেল ও সদস্যসচিব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুমনকে উপজেলা জিয়া মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়। মীর জিয়াউর রহমান সুমনের মতো একজন তুখোড় তাঁতী লীগ নেতাকে রাতারাতি বিএনপি বানিয়ে জিয়া মঞ্চের উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা নিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির ৪ জন নেতা বলেন, বিএনপির কতিপয় নেতা এখন বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। তারা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পদ-পদবি দিচ্ছেন। না হয় জিয়াউর রহমান সুমনের মতো একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে কিভাবে উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক করা হয়? এ ঘটনায় তারা হতভম্ব হয়েছেন।
তারা বলেন, বিএনপিতে কি লোকের অভাব পড়ছে যে, আওয়ামী লীগের লোক এনে পদ-পদবি দিতে হবে? এ ব্যাপারে মীর মো. জিয়াউর রহমান সুমন বলেন, আমি আগেও বিএনপি করতাম। ১৬ বছর একটানা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগ করতে হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান রুবেলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।