আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে সরকার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হলে বিসিবি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে বিসিবির কাউন্সিলর নির্বাচিত ইশরাক হোসেন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন, তামিম ইকবালসহ একাধিক ক্রিকেট সংগঠক এ বিষয়ে মত দেন।
এ সময় ইশরাক হোসেন বলেন, বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করা হবে ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।
মূলত, তামিম ও ইসরাকরা অভিযোগ করেছেন, সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিসিবি সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জেলা ও বিভাগে নিজেদের পছন্দমতো কাউন্সিলর মনোনীত করতে চান। মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবির পক্ষ থেকে জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেটের সংশ্লিষ্টদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
তফসিল অনুসারে, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাউন্সিলর মনোনয়ন সংগ্রহ শেষে প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ ও আপত্তির ওপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর বাছাই ও তালিকা প্রকাশ ২৯ সেপ্টেম্বর। আপিল গ্রহণ, শুনানি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও যাচাই-বাছাই শেষে ১ অক্টোবর বেলা ২টায় নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে বিসিবি নির্বাচনের ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন।
১ অক্টোবর বিকাল ৪টায় পোস্টাল ও ই-ব্যালটন বিসিবি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। ৬ অক্টোবর দুপুর ২টার মধ্যে তা ডাকযোগে অথবা ই-মেইলে পাঠাতে হবে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। এছাড়া, কমিশনে আছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)।