গাজা সিটির আধুনিক ও উন্নত একটি এলাকায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ধাপে ধাপে অর্থ পরিশোধ করে একটি ফ্ল্যাটের মালিক হওয়ার স্বপ্ন গড়ছিলেন ফিলিস্তিনি ব্যাংক কর্মকর্তা শাদি সালামা আল-রাইয়েস।
৯৩ হাজার ডলারের মর্টগেজ ছিল তার ফ্ল্যাটের ওপর। কিন্তু ইসরায়েলি বিমান হামলায় মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তার স্বপ্নের সেই ভবন। গাজা শহরে এখন বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বহুতল আবাসিক ভবনগুলোকে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৫০টি টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে।
এই ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা (ওএইচসিএইচআর)। সংস্থার মুখপাত্র থামিন আল-খিতান বলেন, এই ধরণের পরিকল্পিত জনসংখ্যা স্থানান্তরের চেষ্টাকে জাতিগত নিধনের পর্যায়ে ফেলা যেতে পারে।
শাদি আল-রাইয়েস বলেন, আমি কখনও ভাবিনি গাজা সিটি ছেড়ে যেতে হবে। কিন্তু এখন বিস্ফোরণ থামছে না। আমি আমার সন্তানদের নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। তাই দক্ষিণে চলে যাচ্ছি। তবে তিনি অঙ্গীকার করেন, গাজা চিরতরে ছেড়ে যাবেন না।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এর আগেই বলেছিলেন, গাজার অধিকাংশ অংশ শিগগিরই সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে এবং জনগণকে সীমান্তবর্তী একটি সংকীর্ণ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।
ইসরায়েল এরই মধ্যে গাজা সিটির বাসিন্দাদের শহর ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে এবং উত্তর গাজা সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহ আরও সীমিত হয়ে পড়েছে।
সূত্র: রয়টার্স