জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। ভিপি-জিএসসহ কোনো পদেই জয়ের দেখা মেলেনি ছাত্রদলের প্রার্থীদের। অনেক হলে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যাও ছিল এক অঙ্কে। অপরদিকে বাগছাস ২৫টি পদের মধ্যে মাত্র দুটি পদে জয় পেলেও গুরুত্বপূর্ণ পদে পরাজিত হয়েছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফিরেই চমক দেখিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৮৯ সালে এক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শিবিরের প্রকাশ্য রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে তারা আবারও প্রকাশ্যে আসে। মাত্র ১১ মাসে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে শক্ত উপস্থিতি জানান দিয়েছে সংগঠনটি।
রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকাকালে শিবিরের নেতাকর্মীরা দলীয় পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছে। শিক্ষার্থীবান্ধব নানা কর্মসূচি, নারী নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, এবং প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বাইরে থাকার কারণে ভোটারদের আস্থা বেড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অতীতে কাজ করার সুযোগ না থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার কারণে এবার তারা আস্থা অর্জন করেছেন। তার ভাষায়, “আমরা প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ডে নেই, শিক্ষার্থীরা পার্থক্য বুঝতে পেরেছে বলেই আমাদের ভোট দিয়েছে।”
ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ ছাড়া হওয়া এই নির্বাচনে ছাত্রদল ও বাগছাসের দুর্বল ফলাফল এবং শিবিরের উত্থান এখন শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার শীর্ষ বিষয় হয়ে উঠেছে।