কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে এই হামলা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। গত দুই বছরে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে নিহতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির কোনো প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে দখল ও নিপীড়নের নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। দোহায় হামলা কেবল কাতার নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো প্রথমবারের মতো এই হামলার তীব্র নিন্দা জানালেও, গাজার গণহত্যায় তাদের নীরবতা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র হামলার নিন্দা দিলেও হামাস নির্মূলকেই চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইসরায়েলের ‘দীর্ঘ হাত’ নীতি অনুযায়ী শত্রুদের যেকোনো জায়গায় আঘাত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অবশেষে, মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশে হামলা চালানো হয়েছে, যা বিশ্বযুদ্ধের আভাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে ইসরায়েল তার আগ্রাসন অব্যাহত রাখায় বিশ্ব সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। দোহা হামলা বিশ্বকে সতর্ক করেছে— এখনই না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের আগ্রাসন থামানো কঠিন হবে।