গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরায়েলের সহিংসতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেই এই স্বীকৃতি জানাবে দেশটি।
একইসঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১২টি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাসেলস। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভো এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বেলজিয়াম নিউইয়র্ক ঘোষণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে এগিয়ে নিতে চায়— অর্থাৎ ইসরায়েলের পাশে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
প্রেভো এক্স-এ দেওয়া পোস্টে উল্লেখ করেন, “ফিলিস্তিনে, বিশেষত গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায়” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে— দখলকৃত অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা, ইসরায়েলি কোম্পানির সঙ্গে সরকারি ক্রয়নীতি পুনর্বিবেচনা এবং হামাস নেতাদের বেলজিয়ামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা।
ফিলিস্তিন দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিম তীর ও গাজায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে, যেখানে পূর্ব জেরুজালেম হবে রাজধানী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হলো— এমন সমাধান কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
ইসরায়েল বেলজিয়ামের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে প্রেভো স্পষ্ট করেছেন— তাদের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য উভয় পক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়— পশ্চিম তীরসহ দখলকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন অবৈধ, যা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তবে ইসরায়েল দাবি করে, এসব অঞ্চল “বিতর্কিত এলাকা”।
