গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার দ্রুততম সময়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করা হবে। প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, জড়িত কোনো ব্যক্তি রেহাই পাবে না।
বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘বর্বরোচিত আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যা শুধু নুরুল হক নুরের ওপরই নয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনাকেও আঘাত করেছে।
এছাড়া তৎক্ষণাৎ নুর ও আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, প্রয়োজনে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হবে রাষ্ট্রীয় খরচে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুর ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি তরুণ সমাজকে একত্র করেছিলেন এবং নির্ভীকভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তার সাহস ও আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, এই ঐক্যই আমাদের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করবে, জনগণের ম্যান্ডেটবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করবে।
বিবৃতির শেষ অংশে সরকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বিলম্বিত বা ব্যাহত করার কোনো ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্ত এবং কোনো শক্তি গণতন্ত্রের পথে বাধা দিতে পারবে না।