বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নির্বাচনের পরে জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনার পরিকল্পনা তৈরি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন যতদিন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ধীরে ধীরে এই প্ল্যানগুলোকে তারেক রহমান লন্ডনে বসে একটা উন্নত বিশ্বের প্ল্যানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে আমাদের মাঝে আসছেন। আমরা তার অপেক্ষায় রয়েছি। এখনো কিছু মামলা জটিলতা রয়েছে। খুব একটা সমস্যা আসার ক্ষেত্রে নেই। নভেম্বরের মধ্যে তাকে কাছাকাছি দেখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, রাজনীতি করছি সম্মান এবং সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে। যিনি রাজনীতি করেন, তিনি রাজনীতি করতে গেলে ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে। ত্যাগ শিকার করতে হবে। পকেটস্থ করার জন্য কেউ যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে বিএনপি থেকে বিদায় নিতে হবে। তারেক রহমান কিন্তু এবার খুব কঠোর।
তিন আরও বলেন, তারেক রহমান দেশে আসবেন। তারেক রহমান দেশে আসার আগে কী কী পরিকল্পনা, কী কী কাজ সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। একদিকে দুর্নীতি বন্ধ করার ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে অন্যদিকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে প্ল্যান করছেন। আমরা যদি অপরাধ এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে হাসিনা যে কাজগুলো করেছে অনেকে তখন বলবে এ কাজতো বিএনপি করতে পারে না। এজন্য তারেক রহমান ১৮০ দিনের প্ল্যান নিয়েছেন। তারেক রহমান ৩৬৫ দিনের প্ল্যান নিচ্ছেন।
কমলনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম কাদেরের সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান।
কমলনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী ও যুগ্ম আহবায়ক এম দিদার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদল হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহবায়ক হাসিবুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবুল হাশেম প্রমুখ।
