পৃথিবীর একাধিক দেশে নিজেদের অস্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপনের দাবি করেছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। তবে কোন কোন দেশে এসব কারখানা তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বার্তাসংস্থা ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাবকে দেওয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
আজিজ নাসিরজাদেহ বলেন, “আমরা সবসময় মিসাইল উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর হয়তো এই কৌশল কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, যেসব দেশে কারখানা নির্মাণ করা হয়েছে, শিগগিরই সেগুলোর নাম প্রকাশ করা হবে।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপট
গত জুনে ইসরায়েল বিনা উস্কানিতে ইরানে হামলা চালায়। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। টানা ১৩ দিন ধরে চলে এ যুদ্ধ। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে।
যদিও যুদ্ধ থেমে গেছে, এখনো দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও হুমকি-পাল্টা হুমকি অব্যাহত রয়েছে।
আঞ্চলিক ভূরাজনীতি ও ইরানের কৌশল
ইরান সবসময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সহযোগীদের ব্যবহার করে আসছে।
লেবাননে হিজবুল্লাহ
গাজায় হামাস
ইরাকে কাতিব হিজবুল্লাহ
ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী
এসব সংগঠনকে অস্ত্র ও সহায়তা দেয় ইরান। ইসরায়েল দাবি করে, এসব দেশের ভেতরেই ইরানের গোপন অস্ত্র কারখানা রয়েছে।
এছাড়া সিরিয়ায় স্বৈরশাসক বাসার আল আসাদের আমলে ইরান নিজস্ব কারখানা স্থাপন করেছিল। যদিও পরবর্তীতে ইসরায়েল এগুলোর বেশিরভাগ ধ্বংসের চেষ্টা চালায়।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
