সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেই ২০২৩ সালে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বিনিয়োগে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়। তবে লোকবল ও চিকিৎসকের অভাবে আড়াই বছর ধরে এই আইসিইউ চালু করা সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, আইসিইউ চালুর জন্য প্রয়োজন তিনজন চিকিৎসক, তিনজন অ্যানেস্থেশিয়ান এবং কিছু সহযোগী কর্মী। এছাড়া প্রয়োজন নির্দিষ্ট সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি। বহুবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হলেও এখনও পর্যাপ্ত চিকিৎসক বা সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে হাসপাতালের ৬৬টি চিকিৎসক পদের মধ্যে ৩১ জনই রয়েছেন। নার্সের সংখ্যা ২৬১ থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১৪১ জন। ফলে হাসপাতাল নিজেই রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জটিল রোগীরা দ্রুত সিলেটে পাঠানো হচ্ছে।

স্থানীয়রা হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনিক মিয়া বলেন, “জেলা সদর হাসপাতালে যে পরিমাণ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা, সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত আইসিইউ চালু হোক।”
মমতা বেগম বলেন, “আমার স্বামীর বুকে ব্যথা। আসতেই চিকিৎসকরা বলছেন সিলেটে নিতে হবে।”
আসমা বেগম বলেন, “দুই দিন ধরে মেয়েকে ভর্তি করেছি। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয়, চারদিকে গন্ধ।”

সুনামগঞ্জ সচেতন কমিটির সহ-সভাপতি খলিল রহমান বলেন, “২ কোটি টাকার উপরে খরচ করে আইসিইউ স্থাপন হলেও সুবিধা মানুষ পাচ্ছে না। দ্রুত সেবা চালু হোক, সিলেটে যাওয়া থেকে অসহায় পরিবাররা মুক্তি পাবে।”

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, “আইসিইউ চালু, ডাক্তার সংকট নিরসনসহ আমরা উপরের মহলে জানিয়েছি। আশা করি সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version