ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তিনি মিসর ও জর্ডানের একটি অংশসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে নিয়ে একটি বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ‘ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিশনে’ রয়েছেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম আই-২৪ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
টাইমস অব ইসরায়েল-এর বরাতে জানা যায়, ওই সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি বৃহত্তর ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘অত্যন্ত’ সংযুক্ত। এই দৃষ্টিভঙ্গির আওতায় বর্তমান ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন, জর্ডান ও মিশরের কিছু অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী শ্যারন গাল, যিনি এক সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের ডানপন্থি সদস্য ছিলেন, তিনি নেতানিয়াহুকে একটি তাবিজ উপহার দিয়েছেন। ওই তাবিজে ‘প্রতিশ্রুত ভূমির মানচিত্র’ তথা বৃহত্তর ইসরায়েলের চিত্র আঁকা ছিল।
এ নিয়ে নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি এই ধারণার সঙ্গে সংযুক্ত কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন ঐতিহাসিকভাবে এবং আধ্যাত্মিকভাবে আমার মধ্যে কোনো মিশন আছে কিনা—তবে তার উত্তর হলো হ্যাঁ।
মূলত, ২০২৩ সালে গাজায় হামলা এবং লেবাননে ইসরায়েলের অভিযানের পর থেকে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণাটি পুনরায় আলোচনায় এসেছে। এর একটি কারণ হলো, গাজায় স্থল অভিযানের সময় কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখানো হয়েছিল, যেখানে কিছু ইসরায়েলি সৈন্য তাদের ইউনিফর্মে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ মানচিত্রযুক্ত ব্যাজ ধারণ করেছিল।
আরব দেশগুলোর সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা এ বিষয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কারণ ‘দ্য প্রমিজড ল্যান্ড’ (প্রতিশ্রুত ভূখণ্ড) এর মানচিত্রে জর্ডান, ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এবং মিশরের অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলের অনেক ইহুদি, বিশেষ করে উগ্র ইহুদিবাদীরা, এই অঞ্চলটিকে ‘এরিটজ ইসরায়েল’ বা ‘ইসরায়েলের পবিত্র ভূমি’ হিসেবে দেখে। এটি ইসরায়েলের বর্তমান সীমার চেয়ে অনেক বৃহত্তর একটি ভৌগলিক এলাকা।