আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে জবানবন্দিতে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি প্রদান করেন।
ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালত গত ৭ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় সুমাইয়া জাফরিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন, জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৬ আগস্ট রাতে ডিবির একটি দল সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নিয়ে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর কে বি কনভেনশন সেন্টারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি গোপন বৈঠকে অংশ নেন। ওই ঘটনার পর ১৩ জুলাই পুলিশ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ২২ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
