নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, দেশে থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতেন না তিনি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান সাদ্দাম, যিনি বর্তমানে ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন।
২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশ ছাড়েন তিনি। কলকাতার একটি ভবনের অষ্টম তলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে একটি ‘পার্টি অফিস’। ছোট এই অফিস ঘিরেই এখন চলছে দলের অঘোষিত কার্যক্রম। বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ওই অফিসের ভেতরের চিত্র, রাজনৈতিক তৎপরতা এবং অর্থায়নের উৎস।
সাদ্দাম বলেন, “এক বছর ধরে ক্যাম্পাস মিস করি। তবে দেশে থাকলেও ক্যাম্পাসে যেতাম না।” তিনি জানান, বর্তমানে হাজার হাজার ছাত্রলীগকর্মী ক্লাস, পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কেবল রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে।
তার ভাষায়, “এটা শুধু ছাত্রলীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পরিবারগুলোর সন্তানদের ক্ষেত্রেও ঘটছে। অনেকেই এইচএসসি পরীক্ষাও দিতে পারেনি, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগপন্থী পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে।”
ছাত্রলীগ সভাপতি ছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য শীর্ষ নেতা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাদের দাবি, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় নেতারা ভারতে থাকায় এখান থেকেই রাজনৈতিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।