প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে ৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাসের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে মোট ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং তা দখলে রেখেছেন। এছাড়া নিজ নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ২৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ৪২৬ টাকা জমা এবং ২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৩ টাকা উত্তোলন করেছেন।সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট ৫৭ কোটি ৭০ লাখ ১১ হাজার ৭৩৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ধারা ২৭(১) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ৪(২) ও ৪(৩) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ধারায় ৫(২) মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম ও সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফ মাহমুদ অপু বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা করে দুদক।
প্রথম মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৮২৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ, দ্বিতীয় মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফ মাহমুদ অপুর নামে ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং তৃতীয় মামলায় আসামি পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামের নিজ নামে ৯৪ লাখ ১ হাজার ৮০৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই দিন কামালের এপিএস মনির হোসেনকে আসামি করেও একটি মামলা দায়ের হয়। আসাদুজ্জামান খানকে চার মামলায় আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়।
