ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসা, যার অর্থ—‘সবচেয়ে দূরের মসজিদ’। এটি ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা এবং মক্কা ও মদিনার পর ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। জেরুজালেম নগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই মসজিদ শুধু একটি ধর্মীয় উপাসনাস্থল নয়, বরং এটি মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদা ও ঐক্যের প্রতীক।
এই পবিত্র স্থানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সম্প্রতি প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন—আল আকসা মসজিদ ও পশ্চিম তীর এখন থেকে ইসরায়েলের ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’।
রোববার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কাৎজ বলেন, ‘তিসা বা’আভ উপলক্ষে, দ্বিতীয় টেম্পল ধ্বংসের দুই হাজার বছর পর এখন পশ্চিম দেয়াল এবং আল আকসা পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন।’
তিনি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যত প্রতিবাদই হোক, আমরা জেরুজালেম, পশ্চিম দেয়াল এবং আল আকসায় আমাদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরালো করব।
এর আগেই রোববার সকালে ইসরায়েলের কট্টরপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির আল আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে সেখানে প্রার্থনা করেন। অথচ, এই মসজিদ চত্বরে ইহুদি প্রার্থনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তার এ পদক্ষেপ ইসলামি দুনিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ করে সৌদি আরব একে উসকানিমূলক ও পবিত্রতার অবমাননা হিসেবে আখ্যা দিয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এটি ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় হুমকি।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন ইতোমধ্যেই এক আহত ও রক্তাক্ত ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর দমনপীড়নে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমরা প্রতিনিয়ত জীবন হারাচ্ছেন। মসজিদুল আকসা এখন এই দমননীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এই সাম্প্রতিক অবস্থান শুধু ফিলিস্তিন নয়, বরং গোটা মুসলিম বিশ্বেই উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।