গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের কাছে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানিতে জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন— ইসরায়েলের জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন কোনো অস্ত্র রপ্তানি লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়নি।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যেসব পণ্য গাজায় সামরিকভাবে ব্যবহৃত হতে পারে, সেগুলোর লাইসেন্স আমরা শুরুতেই স্থগিত করেছি এবং এখনও তা বহাল রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয় কানাডা থেকে এখনো ইসরায়েলে অস্ত্র যাচ্ছে। এই তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং বিকৃতভাবে উপস্থাপিত। প্রতিবেদনে উল্লেখিত ‘গুলি’ আসলে পেইন্টবল জাতীয় এবং অস্ত্র অকার্যকর করার উপকরণ, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য নয়।”
এদিকে, “ওয়ার্ল্ড বিয়ন্ড ওয়্যার”, “ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন”, “কানাডিয়ানস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট”, ও “ইনডিপেনডেন্ট জিউইশ ভয়েসেস”—এই চারটি এনজিও সম্প্রতি দাবি করেছে, কানাডা এখনও ইসরায়েলে সামরিক পণ্য পাঠাচ্ছে। তারা এর প্রমাণ হিসেবে বাণিজ্যিক শিপমেন্টের কাগজপত্রও প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলনের নেতা ইয়ারা শুফানি বলেন, “কানাডা সরকার অস্বীকার করলেও বাস্তবে তারা ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।”
তবে কানাডীয় সরকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। আনিতা আনন্দ আবারও স্মরণ করিয়ে দেন, “বিনা লাইসেন্সে সামরিক পণ্য রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে— যার মধ্যে জরিমানা, পণ্য জব্দ এবং ফৌজদারি অভিযোগও রয়েছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা কখনোই কানাডায় তৈরি অস্ত্রকে এই সংঘাতে ব্যবহৃত হতে দেব না।”