পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরের মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে গভীর রহস্য। করাচির একটি বাসা থেকে তার পচাগলা মরদেহ উদ্ধার হয়ে শোবিজ অঙ্গন এবং পুরো দেশকে শোকাহত করেছে। প্রথমে পুলিশ ধারণা করেছিল, তিনি দুই সপ্তাহ আগে মারা গেছেন। কিন্তু তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে—অভিনেত্রী প্রায় নয় মাস আগে মৃত্যু বরণ করেছেন। এত দীর্ঘ সময় মরদেহ পড়ে থাকার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে গেছে এবং পোকা ধরেছে।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে এতদিন ধরে কেউ খোঁজ নেয়নি এই তরুণ অভিনেত্রীর? পরিবার থেকেও তার সঙ্গে নাকি ছিল যোগাযোগবিচ্ছিন্নতা। ফলে অনেকেই ভাবছেন, শুধু দুর্ঘটনা নয়, এর পেছনে হয়তো আছে অন্য কোনো রহস্য।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, তার মৃত্যু রহস্যময় অবস্থায় ঘনিষ্ঠ বন্ধু দুর এ শেহওয়ার সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীর পাঠানো একটি শেষ ভয়েস মেসেজ শেয়ার করেছেন, যা নেটিজেনদের হৃদয় আরও গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।
ভয়েস মেসেজে শোনা যায় হুমায়রা বলছেন, আমি দুঃখিত, আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম। এখানে ওখানে ঘুরছিলাম। খুব ভালো লাগল শুনে যে তুমি এখন মক্কায় আছো। আমার জন্য অনেক দোয়া করো প্লিজ। তোমার এই কিউটি বন্ধু বা বোনের জন্য মন থেকে দোয়া করবে। আমার ক্যারিয়ারের জন্যও দোয়া করো।
এই মেসেজ থেকেই স্পষ্ট, মৃত্যুর আগে হয়তো কোনো মানসিক চাপ বা একাকীত্বে ভুগছিলেন তিনি। এদিকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ভাড়াবাকি থাকায় ভবনের মালিক হুমায়রার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট খুলে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে, মস্তিষ্ক ও শরীরের বেশিরভাগ অংশে পচন ধরেছিল, শরীরে পোকা পাওয়া গেছে। এখনও নিশ্চিত নয় মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক, আত্মহত্যা না কি অন্য কিছু। এই মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেকেই বলছেন জনপ্রিয়তার আড়ালে কতটা নিঃসঙ্গ ছিলেন হুমায়রা।