ইরান ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের রেশ কাটতে না কাটতেই উঠে এলো নতুন তথ্য। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে যে গুজব ছড়িয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার শীর্ষ উপদেষ্টা আলি শামখানি শনিবার (২৮ জুন) সুস্থ অবস্থায় প্রকাশ্যে হাজির হন যুদ্ধে নিহতদের জানাজায়।
এতে স্পষ্ট হয়, তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হননি। বিষয়টি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ছড়ানো বিভ্রান্তির একটি বড় সংশোধনী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ১৩ জুন শামখানিকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল, বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরানও। তবে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, শামখানি নিহত হননি, বরং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে তার কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ না পাওয়ায় তার মৃত্যুর গুঞ্জন জোরালো হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় টিভি ও সংবাদমাধ্যমে তার উপস্থিতি ও সরাসরি সাক্ষাৎকারে সব প্রশ্নের উত্তর মিললো।
জানা গেছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় জানাজার আয়োজন করে ইরান। সেই জানাজায় নামাজ পড়া হয় শামখানির জন্যও। এরপরই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইবিতে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে হঠাৎ করেই দেখা যায় আলী শামখানিকে। একই দিনে তিনি অংশ নেন নিহতদের সম্মানে আয়োজিত জানাজা অনুষ্ঠানে, যার ছবি প্রচার করেছে আইআরআইবি
সাক্ষাৎকারে শামখানি জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় তার বাসভবন ধসে পড়ে ও তিনি প্রায় তিন ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন। বলেন, আমি ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকেই ফজরের নামাজ আদায় করি। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি ভূমিকম্প। কিন্তু যখন গাড়ির শব্দ শুনি, তখন বুঝতে পারি যে এটি একটি সামরিক হামলা ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি পুরো সময়টা সচেতন ছিলাম, কীভাবে বের হবো, তা পরিকল্পনা করছিলাম। ভয় পাইনি। পূর্বের অভিজ্ঞতা আমাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রেখেছিল।
শামখানি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। সব পরিকল্পনা আগে থেকেই করা ছিল, ও সেভাবেই অভিযান চালানো হয়েছে।