মেডিকেল ভর্তির চান্স না পেয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের তারে হাত দিযে নিজেকে শেষ করে দিলেন নীরব নামে এক যুবক।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরে ছাত্রাবাস থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে সে খুঁটিতে উঠে বৈত্যুতিক তারে হাত দেন। এ সময় তার শরীর পুড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
নীরবের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চিলমারী এলাকায়। তার বাবা এরশাদুল হক ও মা নুরুন্নাহার বেগম। দুজনই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
আখাউড়ায় বিজয় দিবসের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নীরব পরিবারের বড় ছেলে। সে রংপুর শহরের লালবাগ এলাকার নুর ছাত্রাবাসে থাকতেন। সেখানে থেকে কোচিং করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হলে কোথাও চান্স পাননি। পরিবারের সাথে তেমন যোগাযোগও রাখেননি। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মেস থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে শহরের ২০ মেগাওয়াট বালাপাড়া এলাকায় গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের তারে হাত দেন। এতে বৈদ্যুতিক শকে তার শরীর পুড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেরুবাড়ী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আশরাফুল হক জানান, ঘটনা শুনে ওই বাড়িতে গিয়েছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পরিবারের লোকজন সবাই শোকে স্তব্ধ। কথা বলার মতো অবস্থা নেই।
