ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা ভুটানের প্রথম ট্রানশিপমেন্ট চালানের পণ্যবাহী একটি কনটেইনার লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে আছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে ট্রানশিপমেন্ট পণ্য পরিবহনের জন্য অনুমতি দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ফলে থাইল্যান্ড থেকে সমুদ্রপথে আসা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালান বন্দরে আটকে রয়েছে।
জানা যায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংক ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে ছয় ধরনের পণ্য (ফল, জুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু-স্বাদের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পু) কনটেইনারে পাঠায়। ল্যাম চ্যাবাং বন্দর থেকে ছাড়ানো এসব পণ্য ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রথম কনটেইনারটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এনএম ট্রেডিং করপোরেশন ২৮ নভেম্বর বিকেল ৪টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিয়ে আসে।
বড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সড়কপথ হয়ে ভুটানে পৌঁছানোর জন্য যে অনুমোদন দরকার, চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ তা পায়নি। ফলে ট্রানশিপমেন্ট কনটেইনারটি বুড়িমারী বন্দরের ইয়ার্ডে গাড়িসহ অবস্থান করছে।
বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বেনকো লিমিটেডের প্রোপাইটর ফারুক হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে আনা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালান এখনও বুড়িমারীতেই আছে। ভারত অনুমোদন দেয়নি। তাই পাঠানো সম্ভব হয়নি। অনুমতি পেলে চালানটি ভুটানে পাঠানো হবে।’
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান নিশ্চিত করেছেন যে, বৃহস্পতিবার থেকেই কনটেইনারটি বন্দরের ইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভুটানের চালানের কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় কাস্টমস থেকে অনুমতি পেলে পণ্য ভুটানের দিকে পাঠাতে পারব।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ একটি প্রটোকল চুক্তি সই হয়। পরে গত বছরের এপ্রিলে ভুটানে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়কপথ এবং ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রানশিপমেন্ট চালান পাঠানো হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো প্রথম কনটেইনারটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এনএম ট্রেডিং করপোরেশন ২৮ নভেম্বর বিকেল ৪টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিয়ে যায়। ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বুড়িমারীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনকো লিমিটেড কয়েকবার চেষ্টা করলেও ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে কনটেইনারটি প্রবেশের অনুমতি পায়নি।
