রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগবিরোধী মিছিলে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় মারাত্মকভাবে আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। হামলার একটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়—লাল টি-শার্ট পরা এক যুবক নির্দয়ভাবে পেটাচ্ছেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। তবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেন, লাল শার্টপরা যুবক নুরকে নয়, ছাত্রনেতা সম্রাটকে পেটাচ্ছিলেন।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে রাশেদ লিখেছেন—
“লাল শার্টপরা যে ব্যক্তিকে মারছে সে নুরুল হক নুর নয়, বরং ছাত্রনেতা সম্রাট। ওই যুবকের ওপর দায় চাপিয়ে নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বৈধতা দেওয়া যাবে না। সেনাবাহিনীর সদস্যরা নুরের ওপর হামলা করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এমনকি তারা আমাদের কার্যালয়ে ঢুকে বাথরুম ভেঙে অসংখ্য নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করেছে।”
তবে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, লাল টি-শার্ট পরা যুবক নুরুল হক নুরসহ অন্যদেরও মারধর করছেন। এই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মীর আসাদুজ্জামান জানান—
“ভিডিওতে দেখা ওই ব্যক্তিকে একসময় আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।”
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তাপ ছড়িয়েছে।
