আজকাল সুস্থ থাকা যেন একেকটা যুদ্ধ। বাজারে এত ওষুধ, এত টোটকা—তবুও ক্লান্তি, দুর্বলতা, অসুস্থতা যেন লেগেই আছে। অথচ সুস্থ থাকার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে আমাদের ছোট ছোট দৈনন্দিন অভ্যাসে।
হ্যাঁ, এমন কিছু অভ্যাস আছে—যেগুলো কঠিন নয়, ব্যয়বহুলও নয়। কিন্তু নিয়ম করে করলে আপনার শরীর, মন—দুটোই থাকবে ফিট।
এক. খাবারের পরে হাঁটা:
খেয়েই কেউ মোবাইল নিয়ে বসে পড়ে, কেউ আবার বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। কিন্তু জানেন কি? খাবারের পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়, হজমও ভালো হয়। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে, শরীরও থাকে চনমনে। বড় ব্যায়াম না করলেও এই ছোট্ট হাঁটাটুকুই এনে দিতে পারে বিশাল উপকার।
দুই. ওমেগা-৩ খাওয়ার অভ্যাস:
স্যামন, সার্ডিন, আখরোট, তিসি—এই খাবারগুলো শুধুই স্বাদের জন্য নয়। এগুলো ভরপুর ওমেগা-৩-এ, যা মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে, হৃদয় সুস্থ রাখে, আর শরীরের প্রদাহ কমায়। নিয়ম করে খেতে পারলে দীর্ঘস্থায়ী রোগ দূরে থাকবে অনেকটাই।
তিন. ঘুমকে গুরুত্ব দিন:
ঘুম—একটা ছোট শব্দ, কিন্তু এর প্রভাব বিশাল। রাতে ৭-৯ ঘণ্টা গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম শরীরকে শুধুই বিশ্রাম দেয় না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ঘুম ঠিক না থাকলে ওজন বাড়ে, মন ভালো থাকে না, এমনকি অসুস্থতাও সহজে ধরে। খাবার আর ব্যায়ামের মতোই ঘুমকে বানাতে হবে প্রাধান্যের তালিকায়।
চার. প্লাস্টিক বাদ দিন:
প্লাস্টিকের বোতল বা বক্সে খাবার রাখার অভ্যাস অনেকের। কিন্তু এই অভ্যাসই শরীরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে BPA বা phthalates-এর মতো বিষাক্ত রাসায়নিক। ধীরে ধীরে এসব ক্যানসার, ইনফার্টিলিটি বা মেটাবলিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কাঁচ বা স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করলেই কমবে ঝুঁকি।
পাঁচ. স্বাস্থ্য নিয়মিত পরীক্ষা করুন:
শুধু ওজন বা BMI দেখে স্বাস্থ্য বোঝা যায় না। রক্তের রিপোর্টে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। যেমন—LDL কোলেস্টেরল, CRP বা ইনসুলিনের মাত্রা। এইগুলো আগেভাগেই ইঙ্গিত দেয়, শরীরে কোনো বিপদ আসছে কি না। তাই নিয়মিত চেকআপকে অভ্যাসে পরিণত করা দরকার।