পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA)।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশে। সেখানে গত ২৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের, আহত হয়েছেন আরও ১০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২ জন।
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩১ জন, আহত ৫১ জন। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বেলুচিস্তানে মারা গেছেন ১৬ জন, যাদের মধ্যে শনিবার প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩ জন। আহত হয়েছেন ৪ জন।
সিন্ধু প্রদেশে প্রাণ গেছে ১৭ জনের এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরে মারা গেছেন ১ জন, আহত হয়েছেন ৫ জন।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকালীন সময়ে পাকিস্তানে সাধারণত বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত ও হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে পাহাড়ি ও উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জাতীয় ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পাহাড়ি ঢলে বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়কপথ ও ফসলি জমি। অনেক এলাকায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চলছে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাকিস্তানে বৃষ্টির মাত্রা ও সময়কাল দিন দিন আরও অপ্রত্যাশিত হয়ে উঠছে। ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে দেশটি।