লোহিত সাগরে দুটি ট্যাংকার ডুবিয়ে এবার ইসরায়েলি বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালালো হুতি বিদ্রোহীরা। ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত হলেও উত্তেজনা বাড়ছে লেভান্ট অঞ্চলে।
দখলদার ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এক বিবৃতিতে জানান, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “গুণগত সামরিক অভিযান” চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্গেটে পৌঁছানোর আগেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই লোহিত সাগরে দুটি বিশালাকার বাণিজ্যিক ট্যাংকার জাহাজ ডুবিয়ে দেয় হুতি যোদ্ধারা। প্রথমে ‘ম্যাজিক সিস’ নামের একটি জাহাজ ধ্বংস করা হয়, এরপর হামলা হয় ‘ইটার্নিটি-সি’ নামের জাহাজটির ওপর। হামলার ফলে জাহাজটি মঙ্গলবার ডুবে যায়।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘ইটার্নিটি-সি’ জাহাজটিতে মোট ২৫ জন নাবিক ছিলেন। হামলায় চারজন নিহত হন, কয়েকজনকে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনও নিখোঁজ ১১ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে ছয়জনকে হুতিরা জিম্মি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় একটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা।
হুতির মুখপাত্র দাবি করেছেন, তারা কয়েকজন আহত নাবিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছেন।
হুতিরা জানিয়েছে, উভয় জাহাজই ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য করছিল, তাই এসব হামলা চালানো হয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে এবং ইতোমধ্যে প্রায় ১০০টির বেশি হামলার দাবি করেছে তারা।
এই সমস্ত হামলার মূল উদ্দেশ্য—ইসরায়েলের গাজা উপত্যকায় চলমান বর্বরতা বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা।