ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে ইয়েমেন যান প্রিয়া। সেখানে কয়েকটি হাসপাতালে কর্মরত থাকার পর তিনি নিজেই একটি ক্লিনিক চালু করেন। ২০১৪ সালে স্থানীয় বাসিন্দা তালাল আবদো মাহদির সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রিয়া, কারণ ইয়েমেনের আইনে ব্যবসা শুরু করতে হলে কোনো স্থানীয় অংশীদারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করাই বাধ্যতামূলক।
জানা যায়, কেরালার ওই নার্সের সাথে মাহদির বিরোধ হয় এবং তিনি ওই ইয়েমেনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এরপরও মাহদি ভারতীয় ওই নার্সকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখেন বলে অভিযোগ।
নিমিশার পরিবারের দাবি, নিজের জব্দ থাকা পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির শরীরে ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন প্রিয়া। তবে অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মাহদির মৃত্যু হয়।
পরে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় প্রিয়াকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০১৮ সালে তাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বিচারিক আদালত প্রিয়াকে একজন ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে বহাল রাখে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।