যুক্তরাষ্ট্র সফরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন—তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চান, তবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু বলেন, “ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইসরায়েল ধ্বংসের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। তাই সার্বভৌম নিরাপত্তা কেবল আমাদের হাতেই থাকবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল, তা স্পষ্ট প্রমাণ—তারা রাষ্ট্র গড়ে জনগণকে রক্ষা করে না, বরং সন্ত্রাসের জন্য সুড়ঙ্গ ও বাঙ্কার তৈরি করে। নারী ধর্ষণ, পুরুষদের শিরশ্ছেদ, শহর-গ্রামে নৃশংসতা চালিয়ে যায়।”
নেতানিয়াহু বলেন, “এই ধরনের সহিংসতা আমরা শুধু নাৎসি জমানাতেই দেখেছি। তাই কেউ আর বলবে না—তাদের একটি রাষ্ট্র দেওয়া উচিত। কারণ সেটা ইসরায়েল ধ্বংসের আরেকটি মঞ্চ হয়ে উঠবে।”
ফিলিস্তিনি জনগণের শাসনক্ষমতার বিষয়ে তিনি বলেন, “তাদের নিজেদের শাসনের অধিকার থাকা উচিত, কিন্তু এমন কোনো ক্ষমতা দেওয়া যাবে না যা আমাদের হুমকির মুখে ফেলে।”
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প যখন সাংবাদিকদের বলেন, “দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান সম্ভব কি না, জানি না,” তখন নেতানিয়াহু যুক্ত করেন, “বর্তমানে কেউ বলবে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নয়—এমন কিছু। আমরা তাতে পরোয়া করি না। স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র আমরা কখনোই হতে দেব না—এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।”
তিনি বলেন, “শান্তির পথ খুঁজে নিতে চাই, তবে শুধু সেই ফিলিস্তিনি প্রতিবেশীদের সঙ্গে, যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায় না।”
উল্লেখ্য, বহু বছর ধরেই ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমকে নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার জন্য শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত। তবে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন এবং গাজায় সাম্প্রতিক হামলার কারণে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনা ধ্বংস হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সূত্র: রয়টার্স